বিসিকে অস্থিরতা জনবল নিয়োগ নিয়ে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিভাগীয় প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ২০৯ পদে তড়িঘড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে বিসিকের বঞ্চিত কর্মকর্তারা আইনের আশ্রয় নিলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এ ঘটনায় সংস্থার ১৩ জন কর্মকর্তাকে বদলিও করা হয়েছে।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ৪৪ ক্যাটাগরিতে ২০৯ জন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে এন্ট্রি লেভেল বা ৯ম গ্রেডের পদ সংখ্যা ১৩০টি। ষষ্ঠ থেকে তৃতীয় গ্রেডের পদ সংখ্যা ৬৩টি। দেশের সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এ পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বিসিক চাকরি প্রবিধানমালা অনুসারে: ‘করপোরেশন বা করপোরেশন পরিচালিত কোন প্রকল্পে আছেন বা ছিলেন এমন কোন প্রার্থীর যদি সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহা হইলে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহাকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাইতে পারে।’ কিন্তু বিসিক কর্তৃপক্ষ সেটাকে আমলে না নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিসিক কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বঞ্চিত কর্মকর্তারা নিয়োগে অংশগ্রহণের জন্য আইনের আশ্রয় নিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিসিক কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিস দেয়। এতে বিসিক কর্তৃপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর ৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করে। পরে ৩ অক্টোবর আদালত এ নিয়োগে কেন তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল ও তিন মাসের জন্য কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল হতে বদলির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে আদালতের সে নির্দেশনাও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই দিনই ৬ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। গত ১৬ অক্টোবর বিসিক কর্তৃপক্ষ সিভিল রিট পিটিশন দায়ের করলে স্থগিতাদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদালত। ওই দিনই আবার পিটিশনারদের মধ্যে ৪ জনকে বদলি করা হয়। এভাবে প্রধান কার্যালয়ের ১৩ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বদলি করায় প্রধান কার্যালয়ে কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিসিকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফিতাখারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাককে বলেন, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী লিখিতভাবে আবেদন না করলে তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব দেবেন না। এ বিষয়ে বিসিক সচিব একেএম মাসুদুজ্জামান বলেন, নিয়ম মেনেই সব নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আর বদলি তো নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। বিরোধীরা এসব বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।